টিপস এন্ড ট্রিক্স

ই-পাস্পোর্ট তৈরীর সম্পুর্ণ গাইড লাইন

November 23, 2021
E-Pasport

যারা ই-পাসপোর্ট করতে চান তাদের জন্য সম্পূর্ন গাইড লাইনঃ

০১. ই পাসপোর্ট করতে কখনোই কোন অবস্থাতেই কোন দালালের সরনাপন্ন হবেন না। কেনোনা এই ডিজিটাল ব্যাপারটায় দালালের কিছুই করার নেই। তাই নিজের টা নিজে করুন।

০২. আপনারা নিজের টা অবশ্যই নিজে পারবেন। আপনার পরিবারেরটাও আপনি পারবেন।

০৩. এম আর পি থেকে ই পাসপোর্ট করা আর নতুন ভাবে ই পাসপোর্ট করার ফর্মালিটি একই। এম আর পি পাসপোর্ট থাকলে শুধু এর ডাটা গুলো ভুল না করে সঠিক ভাবে নতুন আবেদনে উল্ল্যেক্ষ করুন।

০৪. একটা বিষয় মাথায় রাখবেন ই পাসপোর্ট করতে যে সাপোর্টিং পেপার লাগে তা অবশ্যই আবেদনের পূর্বেই নিজের কাছে সংগ্রহে রাখুন, জেনো কোন অবস্থাতেই আপনার আবেদন টা পরিপূর্ণ করতে ঝামেলায় পড়তে না হয়।

★কি কি ডকুমেন্ট লাগবে?

(ক) আপনার বয়স যদি ১৮ থেকে ২০বছরের মাঝে হয়, তবে NID অথবা ১৭ ডিজিটের ভেরিফাইড Birth Certificate. আর ২০ বছরের উপর হলে অবশ্যই NID লাগবে।

(খ) পুরাতন পাসপোর্ট থাকলে তার যে পেইজে ডাটা রয়েছে সেই পাতাটির ফটোকপি।

(গ) যারা বিবাহিত তাদের কাবিন নামার কপি।

(ঘ) ১৮ বছরের নিচে হলে বাবা মা এর NID এর কপি।

(ঙ) ৬ বছর পর্যন্ত বাচ্চাদের ক্ষেত্রে গ্রে বেকগ্রাউন্ডের উপর পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি ছবি।

(চ) ৬ বছরের কম বয়সের বাচ্চার জন্য 3R সাইজের ছবি নিয়ে যেতে হবে। সাদা বা হাল্কা রঙের পোষাকে ছবি তোলা যাবেনা।

(ছ) ১৫ বছরের নিচের বাচ্চাদের জন্য তাদের বাবা মা এর পাসপোর্ট সাইজের ছবি।

ই পাসপোর্টের জন্য এই সব কাগজের কোন কিছুই সত্যায়িত করার প্রয়োজন নেই।

তবে যেদিন এপয়েন্টমেন্ট তারিখে আপনারা পাসপোর্ট অফিসে যাবেন সেদিন এই সকল কপির মুল সেট টি অবশ্যই সাথে নিয়তে হবে।

★এবার আসি আবেদনের ব্যপারে।

০১. প্রথমেই একটি বৈধ ই মেইল আইডি থেকে epassport.gov.bd এই ঠিকানায় গিয়ে নির্দেশনা মোতাবেক আপনার একটা account খুলুন। একাউন্ট খুলতে আপনার একটা সচল বৈধ মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করুন যা সব সময় আপনার নিজের কাছে থাকবে। account খোলার সময় একটা password use করতে হবে । তা যত্ন সহ সংরক্ষন করুন।

০২. আপনার একটা account থেকেই আপনি আপনার নিজের ও আপনার পরিবারের সদস্যদের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

০৩. এবার আপনার আবেদন গুলো নির্ভয়ে আস্তে আস্তে সময় নিয়ে (প্রয়োজন হলে দুই তিন দিন ) পূরণ করুন। এটা পূরণ করতে গিয়ে প্রতিটা ষ্টেপে “Save and Continue” নির্ভয়ে চাপুন আর পরবর্তী ধাপে এগিয়ে যান। কেননা এখানে ভুল হলেও আপনি তা শুদ্ধ করার সুযোগ পাবেন। এভাবে একে একে আপনার সব গুলো আবেদন পত্র গুলো পুরন করুন। একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন আবেদন পত্র পুরনের শেষ ধাপে “Confirm and Submit” অপশন আসবে। এই খানে ক্লিক করার আগে আপনি এতক্ষন যা পুরন করেছেন তা দারি কমা সহ পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে চেক করে নিন। প্রয়োজন হলে এই ড্রাফটের একটা কপি প্রিন্ট করে নিয়ে ভালো ভাবে এর ইনফরমেশন গুলো যচাই করে নিন। আপনি এই অবস্থায় আপনার কম্পিউটার থেকে বেরিয়ে গেলেও অসুবিধা নেই । আপনার এতোক্ষন কাজের সব কিছুই সেইভ হয়ে থাকবে।

সব কিছু ঠিক থাকলে “Confirm and Submit” বাটনে ক্লিক করুন। ব্যাস আপনার আবেদন এর কাজ শেষ। এই পর্যায়ে আপনার কাছে আপনি কবে পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে ছবি উঠাবন, আঙ্গুলের ছাপ দিবেন, চোখের আইরিশ দিতে পারবেন তার এপয়েন্টমেন্ট এর শিডিউল চাইবে, তখন আপনি আপনার সুবিধামত এপয়েন্টম্যান্ট নিন। আর এই এপয়েন্টমেন্ট শিট এর একটি কপি প্রিন্ট করে নিন। এবার আপনার আবেদনের ৩ পাতার মুল কপিটি প্রিন্ট করে রাখুন।

নাম লেখার ব্যপারে অনেকেই একটা সমস্যায় ভুগেন যেমন কারো নাম যদি হয় AKM. ENAMUL KABIR হয় তবে তিনি Surename এর ক্ষেত্রে লিখবেন KABIR. আর Given Name এ লিখবেন. AKM. ENAMUL এখানে কোন Dot বা ফোটা ব্যবহার করা যাবেনা।

আর মনে রাখবেন আপনার শিক্ষা সার্টিফিকেটে আপনার নাম যেভাবেই লিখা থাকুক তাতে কিছুই আসে যায়না। আপনি আপনার আবেদনে নাম লিখবেন আপনার NID অনুযায়ী।

এবার আপনি নির্দিষ্ট ব্যাংক কে আপনার পাসপোর্ট এর ফী জমা দিন। মনে রাখবেন আপনার আবেদনে যেভাবে নাম লিখেছেন ব্যাংক এর জমার স্লিপ এর নামও ঠিক হুবুহু একই যেনো হয়। ব্যাংক এ টাকা জমা দেওয়ার পর ব্যাংক আপনাকে এটা স্লিপ দিবে, যেখানে একটা রেফারেন্স নাম্বার থাকবে। এই রেফারেন্স নাম্বার টা আপনার মূল আবেদনের ৩য় পাতায় নির্ধারিত জায়গায় যত্ন নিয়ে নির্ভুল ভাবে লিখুন। আর ৩য় পাতার নিচে আপনি স্বাক্ষর ও তারিখ দিন।

এবার পর্যায়েক্রমে উপর থেকে নিচের দিকে ব্যাংক জমার স্লিপ, এপয়েন্টমেন্ট লেটার, মুল আবেদন পত্র, নিজের NID এর কপি, পুরাতন পাসপোর্ট এর ফটোকপি (যদি থাকে), স্ত্রী এর NID কপি, কাবিন নামার ফটোকপি একসাথে করে একটা সেট বানিয়ে পিনআপ করে সংরক্ষন করুন আর নিশ্চিন্তে এপয়েন্টমেন্ট দিনের জন্য অপেক্ষা করুন।

দ্বিতীয় ধাপ: আগে থেকে নির্ধারণ করা তারিখে পাসপোর্ট অফিসে দেখা করবেন সেই প্রিন্ট করা পত্রগুলো ও ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার রশিদ নিয়ে। পরে বিভিন্ন ভাবে আবেদন পত্রগুলো ও জাতীয় পরিচয়পত্র চেক করে পত্রগুলোর উপর সীল মেরে দিয়ে একটি কক্ষে যেতে বলবে। সেখানে যাওয়ার পর ছবি তুলবে হাতের ফিঙ্গার প্রিন্ট ও চোখের আইরিশ নেয়া হবে। পরে পাসপোর্ট ভেলিভারির একটি স্লিপ দেওয়া হবে। এরপরে বাড়িতে পুলিশ ভেরিফিকেশন হবে।

ব্যাংক ফিঃ

ওয়ান ব্যাংক,প্রিমিয়ার ব্যাংক,সোনালী ব্যাংক,ট্রাস্ট ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া,ঢাকা ব্যাংক

৪৮ পেজ ৫ বছর মেয়াদে ৪০২৫/- ২১ দিনে

৪৮ পেজ ৫ বছর মেয়াদে ৬৩২৫/- ৭/১০ দিনে জরুরি ডেলিভারিতে

৪৮ পেজ ৫ বছর মেয়াদে ৮৬২৫/- ২ দিনে

সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারিতে

৪৮ পেজ ১০ বছর মেয়াদে ৫৭৫০/- ২১ দিনে

৪৮ পেজ ১০ বছর মেয়াদে ৮০৫০/- ৭/১০ দিনে জরুরি ডেলিভারিতে

৪৮ পেজ ১০ বছর মেয়াদে ১০৩৫০/- ২ দিনে

সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারিতে

তৃতীয় ধাপ: পাসপোর্ট সংগ্রহ

পাসপোর্ট ভেলিভারি স্লিপের তারিখ অনুযায়ী আবার পাসপোর্ট অফিসে দেখা করবেন। ফিঙ্গারপ্রিন্ট চেক করে ই-পাসপোর্ট বুঝিয়ে দেয়া হবে।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: ও লক্ষনীয় বিষয়

১: কোন ভূল ও মিথ্যা তথ্য দিবেন না।

২: ভূল বা মিথ্যা ঠিকানা ব্যবহার করবেন না।

৩: পাসপোর্ট সংক্রান্ত কোন সমস্যা হলে দ্রুত পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করবেন

৪: পুলিশ ভেরিফিকেশনে ঘুষ চাইলে পাসপোর্ট তদন্ত কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিক জানান

৫: পাসপোর্ট অফিসে কোন সমস্যা হলে সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ, আনসার, সেনাবাহিনী বা অন্য কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসা করেন, তারাই বলে দিবে আপনাকে কি করতে হবে কোন কক্ষে যেতে হবে। সুতরাং কারো সাথে অভদ্র আচরণ করবেন না।

ই-পাসপোর্ট আবেদনের জন্য যা প্রয়োজন:

১: আপনার বাসার বিদ্যুৎ বিলের ফটোকপি

২: আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র

পুলিশ ভেরিফিকেশন যা দেখতে চাইতে পারে:

১: আপনার ও আপনার বাবা মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র

২: পাসপোর্ট আবেদনে যে পেশা দিয়েছেন তার প্রমাণ। যেমন: স্টুডেন্ট দিলে স্টুডেন্ট আইডি কার্ড।

৩: বিদ্যুৎ বিলের ফটোকপি বা বিদ্যুৎ বিল কার্ডে রিচার্জ করলে কার্ডের ফটোকপি।

You Might Also Like

No Comments

Leave a Reply